بسم الله الرحمن الرحيم

sign-in  

মাদরাসা উমর রা. পরিচিতি

মাদরাসা পরিচিতি 


মাদরাসার নাম: মাদরাসা উমর রা. আল ইসলামিয়া-ঢাকা। মাদরাসাটি ঢাকা তেজগাঁওস্থ নাখালপাড়ায় ১৫ ই রমজান ১৪৪০ হিজরি মুতাবেক ২০২০ সালের মে মাসের ৮ তারিখ শুক্রবার প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

মাদরাসার নামকরণ হয়েছে ইসলামের মহান খলিফা হজরত উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর নামের অনুসরণে। নামের ব্যাপারে যখন বিভিন্ন রকম প্রস্তাব আসছিল তখন এ নামটি দিয়েছেন আমার উসতাজ এবং মাদরাসার মুরুব্বি হজরত মাওলানা মুহাম্মাদুল্লাহ সাহেব দা: বা:।

যখন বৈশি^ক মহামারী করোনা ভাইরাসে পৃথিবী বিপর্যস্ত সেই বৈরী পরিবেশে আল্লাহর বিশেষ রহমতে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠাকার্যে স্থানীয় সকল ধর্মপ্রাণ মুসলিমগণ, দ্বীনি শিক্ষার ব্যাপারে আগ্রহী মহল্লার ভাইগণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন। সবাইকে আল্লাহ তাআলা উত্তম বিনিময় দান করুন।

মাদরাসার স্থায়ী জায়গার ব্যবস্থা না থাকায় মাদরাসার মুরুব্বি-আলেম মুফতি মুহাম্মাদুল্লাহ সাহেবের নির্দেশনা ও মাদরাসার শুরা সদস্যগণের পরামর্শে বর্তমানে মাদরাসাটি ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হচ্ছে। ভবনের ঠিকানা হল- ৬২১, শাহীনবাগ, ৬ নং গলি, পশ্চিম নাখালপাড়া, তেজগাঁও, ঢাকা।

প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টিভঙ্গী

‘মাদরাসা উমর রা. আল ইসলামিয়া-ঢাকা’ এর আদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গী হবে ‘আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআর’ আদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গী; তথা ‘মা আনা আলাইহি ওয়া আসবিহি’ (আমি ও আমার সাহাবা যে পথ ও মতের ওপর আছি) এর ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।

আকীদায় ইমাম আবুল হাসান আশআরি ও ইমাম আবু মানসুর মাতুরিদি রাহ. কে কেন্দ্র করে যে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে -কোন ধরনের বাড়াবাড়ি ব্যতীত- তার অনুসরণ করবে। এবং ফিকহের ক্ষেত্রে হানাফি মাজহাবের অনুরণ করবে কিন্তু চার মাজহাবকেই হক মনে করবে। চার মাজহাবের বাইরের কোন ফিকহ গ্রহণযোগ্য মনে করবে না।

তাসাউফের ক্ষেত্রে প্রসিদ্ধ চার আধ্যাত্মিক ধারা তথা চিশতিয়া, কাদেরিয়া, নকশাবন্দিয়া, মুজাদ্দেদিয়া ও তাদের অনুসারী বেদআত-কুসংস্কার মুক্ত ও বিশুদ্ধ সকল ধারার প্রতি উদার মনোভাব রাখবে।

প্রতিষ্ঠানের সকল সিদ্ধান্ত ফিকহে হানাফি অনুযায়ী গৃহীত হবে এবং হজরত শাহ অলিউল্লাহ রাহ. চিন্তাধারায় গড়ে ওঠা আকাবিরে দেওবন্দের নীতি ও আদর্শ গ্রহণ করবে। মাদরাসা পরিচালনায় উসুলে হাশতেগানার অনুসরণ করবে; যা দেওবন্দ প্রতিষ্ঠাকালে হজরত কাসেম নানুতবি রাহ. লিপিবদ্ধ করেছিলেন। উসুলে হাশতেগানা নিন্মরূপ:

 

  1. اصل اول یہ ہے کہ تا مقدور کارکنان مدرسہ کی ہمیشہ تکثیر چندہ پر نظر رہے، آپ کوشش کریں اور وں سے کرائیں خیراندیشان کو یہ بات ہمیشہ ملحوظ رہے۔  
  2.  ابقاء طعام بلکہ افزائش طعام طلبہ میں جس طرح ہوسکے خیراندیشان مدرسہ ساعی رہیں۔
  3.  مشیران مدرسہ کو ہمیشہ یہ بات ملحوظ رہے کہ مدرسہ کی خوبی اور اسلوبی ہو، اپنی بات کی پچ نہ کی جائے، خدا نخواستہ جب اس کی نوبت آئے گی کہ اہل مدرسہ اہل مشورہ کو اپنی مخالفتِ رائے اور اوروں کی رائے کے موافق ہونا ناگوار ہو تو پھر اس مدرسہ کی بناء میں تزلزل آجائے گا۔ القصہ تہِ دل سے بروقت مشورہ اور نیز اس کے پس و پیش میں اسلوبیٴ مدرسہ ملحوظ رہے، سخن پروری نہ ہو، اور اس لیے ضروری ہے کہ اہل مشورہ اظہارِ رائے میں کسی وجہ سے متامل نہ ہوں اور سامعین بہ نیت نیک اس کو سنیں، یعنی یہ خیال رہے کہ اگر دوسرے کی بات سمجھ میں آجائے گی تو اگرچہ ہمارے مخالف ہی کیوں نہ ہو بدل و جان قبول کریں گے اور نیز اس وجہ سے یہ ضروری ہے کہ مہتمم امورِ مشورہ طلب میں اہل مشورہ سے ضرور مشورہ کیا کرے خواہ وہ لوگ ہوں جو ہمیشہ مشیرِ مدرسہ رہتے ہیں یا کوئی وارد و صادر جو علم و عقل رکھتا ہو اور مدرسوں کا خیر اندیش ہو، اور نیز اسی وجہ سے ضروری ہے کہ اگر اتفاقاً کسی وجہ سے کسی اہل مشورہ سے مشورہ کی نوبت نہ آئے اور بقدر ضرورت اہل مشورہ کی مقدار معتد بہ سے مشورہ کیا گیا ہو تو پھر وہ شخص اس وجہ سے ناخوش نہ ہو کہ مجھ سے کیوں نہ پوچھا، ہاں اگر مہتمم نے کسی سے نہ پوچھا تو پھر اہل مشورہ معترض ہوسکتے ہیں۔
  4.  یہ بات بہت ضروری ہے کہ مدرسین باہم متفق المشرب ہوں اور مثل علماء روزگار خود بیں اور دوسروں کے درپئے توہین نہ ہوں۔ خدا نہ خواستہ جب اس کی نوبت آئے گی تو پھر اس مدرسہ کی خیر نہیں۔
  5.  خواندگی مقررہ اس انداز سے ہو جو پہلے تجویز ہوچکی ہو یا بعد میں کوئی انداز مشورے سے تجویز ہو ورنہ یہ مدرسہ اول تو خوب آباد نہ ہوگا اور اگر آباد ہوگا تو بے فائدہ ہوگا۔
  6.  اس مدرسہ میں جب تک آمدنی کی کوئی سبیل یقینی نہیں جب تک یہ مدرسہ ان شاء اللہ بشرط توجہ الی اللہ اسی طرح چلے گا اور اگر کوئی آمدنی ایسی یقینی حاصل ہوگئی جیسی جاگیر یا کارخانہ تجارت یا کسی امیر محکم القول کا وعدہ تو پھر یوں نظر آتا ہے کہ یہ خوف و رجاء جو سرمایہ رجوع الی اللہ ہے ہاتھ سے جاتا رہے گا اور امداد غیبی موقوف ہوجائے گی اور کارکنوں میں باہم نزاع پیدا ہوجائے گا، القصہ آمدنی اور تعمیر وغیرہ میں ایک نوع کی بے سروسامانی ملحوظ رہے۔
  7.  سرکار کی شرکت اور امراء کی شرکت بھی زیادہ مضر معلوم ہوتی ہے۔
  8.  تامقدور ایسے لوگوں کا چندہ موجب برکت معلوم ہوتا ہے جن کو اپنے چندہ سے امید ناموری نہ ہو، بالجملہ حسن نیت اہل چندہ زیادہ پائیداری کا سامان معلوم ہوتا ہے۔
    دارالعلوم دیوبنداوراس کے منہاج پر جاری دیگر مدارس دینیہ کے اصول و مقاصد کو حجة الاسلام مولانا نانوتوی قدس سرہ نے اساسی اصول ہشتگانہ کے عنوان سے خود تحریر فرمایا تھا، جو ماہنامہ القاسم ، محرم ۱۳۴۷ھ کے دارالعلوم نمبر میں شائع بھی ہوچکا ہے۔

 

  1.  যথাসম্ভব মাদরাসার কর্মচারী ও কর্মকর্তাদেরকে অধিকহারে চাঁদা আদায়ের বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। নিজেও এর জন্য চেষ্টা করতে হবে, অন্যের মাধ্যমেও চেষ্টা করাতে হবে। মাদরাসার হিতাকাঙ্খীদেরও এ বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।

  2. যেভাবেই হোক মাদরাসার ছাত্রদের খানা চালু রাখতে হবে বরং ক্রমান্বয়ে তা বৃদ্ধি করার ব্যাপারে হিতাকাঙ্খী ও কল্যাণকামীদের সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে।

  3.  মাদরাসার উপদেষ্টাগণকে মাদরাসার উন্নতি, অগ্রগতি এবং সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার দিকে সর্বদা লক্ষ্য রাখতে হবে। নিজের মত প্রতিষ্ঠার একগুঁয়েমী যাতে কারো মাঝে না হয় এ দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। আল্লাহ না করুন যদি এমন অবস্থা দেখা দেয় যে, উপদেষ্টাগণ নিজ নিজ মতের বিরোধিতা কিংবা অন্যের মতামতের সমর্থন করার বিষয়টি সহনশীলভাবে গ্রহণ করতে না পারেন তাহলে এ প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিমূল নড়বড়ে হয়ে পড়বে। আর যথাসম্ভব মুক্ত মনে পরামর্শ দিতে হবে এবং মাদরাসার শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি লক্ষণীয় হতে হবে। নিজের মত প্রতিষ্ঠার মনেবৃত্তি না থাকতে হবে। এ জন্য পরামর্শদাতাকে মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে তার মতামত গ্রহণীয় হওয়ার ব্যাপারে অবশ্যই আশাবাদী না হতে হবে। পক্ষান্তরে শ্রোতাদেরকে মুক্তমন ও সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তা শুনতে হবে। অর্থাৎ এরূপ মনেবৃত্তি রাখতে হবে যে, যদি অন্যের মত যুক্তিযুক্ত ও বোধগম্য হয়, তাহলে নিজের মতের বিপরীত হলেও তা গ্রহণ করে নেওয়া হবে। আর মুহতামিম বা পরিচালকের জন্য পরামর্শসাপেক্ষে সম্পাদনীয় বিষয়ে উপদেষ্টাগণের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া অবশ্যই জরুরী। তবে মুহতামিম নিয়মিত উপদেষ্টাদের থেকেও পরামর্শ করতে পারবেন কিংবা তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত এমন কোন বিদগ্ধ জ্ঞানী আলেম থেকেও পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবেন, যিনি সকল দ্বীনী প্রতিষ্ঠানের জন্য হিতাকাঙ্খী ও কল্যাণকামী। তবে যদি ঘটনাক্রমে উপদেষ্টা পরিষদের সকল সদস্যের সাথে পরামর্শ করার সুযোগ না হয় এবং প্রয়োজন মাফিক উপদেষ্টা পরিষদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্যের সাথে পরামর্শক্রমে কাজ করে ফেলা হয়, তাহলে কেবল এ জন্য অসন্তুষ্ট হওয়া উচিত হবে না যে, ‘আমার সাথে পরামর্শ করা হল না কেন?’ কিন্তু যদি মুহতামিম কারো সঙ্গেই পরামর্শ না করেন, তাহলে অবশ্যই উপদেষ্টা পরিষদ আপত্তি করতে পারবে।

  4.  মাদরাসার সকল শিক্ষককে অবশ্যই সমমনা ও একই চিন্তা-চেতনার অনুসারী হতে হবে। সমকালীন (দুনিয়াদার) আলেমদের ন্যায় নিজ স্বার্থ প্রতিষ্ঠা ও অন্যকে হেয় প্রতিপন্ন করার দুরভিসন্ধিতে লিপ্ত না হতে হবে। আল্লাহ না করুন যদি কখনো এরূপ অবস্থা দেখা দেয় তাহলে মাদরাসার জন্য এটি মোটেও কল্যাণকর হবে না।

  5. পূর্ব থেকে যে পাঠ্যসূচী নির্ধারিত রয়েছে কিংবা পরবর্তীতে পরামর্শের ভিত্তিতে যে পাঠ্যসূচী নির্ধারণ করা হবে তা যাতে সমাপ্ত হয়; এই ভিত্তিতেই পাঠদান করতে হবে। অন্যথায় এ প্রতিষ্ঠান সপ্রতিষ্ঠিতই হবে না, আর যদি হয়ও তবু তা ফায়দাজনক হবে না।

  6. এ প্রতিষ্ঠানের জন্য যতদিন পর্যন্ত কোন স্থায়ী আয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হবে; ততদিন পর্যন্ত আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীলতার শর্তে তা এমনিভাবেই চলতে থাকবে ইনশাআল্লাহ। কিন্তু যদি স্থায়ী আয়ের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, যেমন কোন জায়গির লাভ, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, মিল ফ্যাক্টরী গড়ে তোলা কিংবা বিশ^স্ত কোন আমীর-উমারার অনুদানের অঙ্গীকার ইত্যাদি, তাহলে এরূপ মনে হচ্ছে যে, আল্লাহর প্রতি ভয় ও আশার দোদুল্যমান অবস্থা; যা মূলতঃ আল্লাহমুখী হওয়ার মূল পুঁজি, তা হাত ছাড়া হয়ে যাবে এবং গায়েবী সাহায্যের দ্বার বন্ধ হয়ে যাবে। তদুপরি প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও কর্মচারীগণের মাঝে পারস্পরিক বিদ্বেষ ও কলহ বিবাদ দেখা দিবে। বস্তুতঃ আয় আমদানি ও গৃহাদি নির্মাণের বিষয়ে অনেকটাই অনাড়ম্বরতা ও উপায় উপকরণহীন অবস্থা বহাল রাখার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।
  7.  সরকার ও আমীর উমারাদের সংশ্লিষ্টতাও এ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে বলে মনে হচ্ছে।
  8. যথাসম্ভব এমন ব্যক্তিদের চাঁদাই প্রতিষ্ঠানের জন্য অধিক বরকতময় হবে বলে মনে হচ্ছে; যাদের চাঁদাদানের মাধ্যমে সুখ্যাতি লাভের প্রত্যাশা থাকবে না। বস্তুতঃ চাঁদাদাতাগণের নেক নিয়ত প্রতিষ্ঠানের জন্য অধিক স্থায়ীত্বের কারণ হবে বলে মনে হয়।

    প্রতিষ্ঠানটির পরিসর অপূর্ণ থাকায় বর্তমানে একজন মুরুব্বি-আলেমের তত্ত¡াবধান ও পরামর্শে এবং কিছু দ্বীনি মুখলিস ভাইয়ের সহযোগিতায় একজন মুহতামিমের অধিনে পরিচালিত হচ্ছে। পরিসর বড় হওয়া পর্যন্ত এভাবেই চলবে। কিন্তু যখন আরও বড় ও ব্যাপক হবে তখন প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা ও শুরা সদস্য থাকবে যাদের পরামর্শে মুহতামিম নির্বাচিত হবেন এবং উক্ত মুহতামিমের অধীনে মাদরাসা পরিচালিত হবে।


প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য

১.এখানে কুরআন মাজিদ, তাফসির, হাদিস, উসুলে হাদিস, আকিদা ও কালাম, ফিকহ, উসুলে ফিকহ ইত্যাদি তথা দ্বীন ও শরিয়তের জরুরী শাস্ত্র এবং এর সাথে প্রয়োজনীয় ও যুগোপযোগী জ্ঞানের প্রাথমিক/মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা দেওয়া হবে। এই শিক্ষার মাধ্যমে একদল আল্লাওয়ালা গভীর জ্ঞানসম্পন্ন আলেমে দ্বীন এখানে তৈরী হবে যারা এই ইলম সমাজে পৌঁছে দেবে, এই ইলম সংরক্ষণে কাজ করবে এবং এই জ্ঞানের মাধ্যমে ইসলাম, মুসলিম এবং দেশ ও জাতির খেদমত করবে।

 

এখানে ছাত্রদেরকে প্রথমে আরবি ভাষার ওপর ব্যুৎপত্তি অর্জনের চেষ্টা করা হয়, সাথে সাথে একাডেমিক পদ্ধতিতে মাতৃভাষা শেখার জন্য বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয় এবং ধর্মীয়-জ্ঞানের সহায়ক হিসেবে উর্দু ভাষা এবং ইসলামি জ্ঞান প্রচার-প্রসারের লক্ষ্যে ইংরেজি ভাষাও অত্যন্ত যতœসহকারে শেখানো হয়। অতঃপর পবিত্র কুরআন, কুরআনের তাফসির, উসুলে তাফসির, হাদিস, উসুলে হাদিস, আকিদা, তর্কশাস্ত্র, ফিকহ, উসুলে ফিকহ, দাওয়াহ-ধর্মতত্ত¡ ইত্যাদি তথা শরিয়তের যাবতীয় জরুরি শাস্ত্র অধ্যয়ন ও গবেষণার সুযোগ করে দেওয়া হয়। সাথে সাথে ছাত্রদেরকে প্রয়োজনীয় জেনারেল শিক্ষার মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা দেওয়া হয়। ফলে এখান থেকে দীন ও শরিয়তের গভীর জ্ঞানসম্পন্ন স্কলার, আলেম ও হাফেজের জামাত তৈরি হচ্ছে; যারা শহর, গ্রাম ও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্নভাবে কুরআনের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন। আলহামদুলিল্লাহ! 

বর্তমানে এখানে যে বিভাগগুলো রয়েছে:
১) কিতাব বিভাগ। ২) হিফজ বিভাগ। ৩) নুরানি ও নাজেরা বিভাগ। এবং মাদরাসার অধিভুক্ত বিভাগগুলো হল-
(ক) অ্যারাবিক কিন্ডারগার্টেন। (শিশুদের জন্য স্কুল ও মাদরাসা শিক্ষার সমন্বিত কারিকুলামে ইসলামিক কিন্ডারগার্টেন)
(খ) তালিমুদ্দিন একাডেমি। (বয়স্ক ও কর্মব্যস্তদের জন্য দৈনিক ১ ঘণ্টা কুরআন শিক্ষা বিভাগ)
(গ) আফটার স্কুল মকতব। (স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের জন্য দৈনিক ১ ঘণ্টা কুরআন শিক্ষা বিভাগ)
(ঘ) আফটার স্কুল হিফজ। (স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের জন্য দৈনিক ১ ঘণ্টা কুরআন হিফজ বিভাগ)


 

মাদ্রাসা উমার রা. এর কিছু বৈশিষ্ট্য:

  • কওমি পাঠ্যক্রম: মাদ্রাসাটি দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) স্তর পর্যন্ত ঐতিহ্যবাহী কওমি পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে।
  • হাফেজিয়া বিভাগ: মাদ্রাসাটিতে একটি হাফেজিয়া বিভাগ রয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীরা হাফেজ (কুরআন মুখস্থ) হওয়ার জন্য পড়াশোনা করে।
  • সুযোগ-সুবিধা: মাদ্রাসাটিতে শিক্ষার্থীদের জন্য আছে সুন্দর মসজিদ, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি এবং আরামদায়ক হোস্টেল।
  • অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী: মাদ্রাসাটিতে অভিজ্ঞ ও মেধাবী শিক্ষকমণ্ডলী শিক্ষার্থীদের সর্বাতোভাবে সহায়তা করে।
  • উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য: মাদ্রাসাটির প্রধান উদ্দেশ্য হলো দেশে ইসলামী শিক্ষার প্রসার ঘটানো এবং সমাজের জন্য দক্ষ ও নৈতিকবান মানুষ গড়ে তোলা।

মাদ্রাসা উমার রা. কিভাবে ভালো ভূমিকা পালন করে:

  • ইসলামী জ্ঞান প্রদান: মাদ্রাসাটি শিক্ষার্থীদের ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান প্রদান করে।
  • নৈতিকতা শিক্ষা: মাদ্রাসাটি শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা ও সুশীলতা শিক্ষা প্রদান করে।
  • দক্ষ মানুষ গড়ে তোলা: মাদ্রাসাটি শিক্ষার্থীদের দেশ ও জাতির জন্য দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করে।

 


২.বাংলাদেশে ‘মাদানি নেসাব’ এর মাধ্যমে ব্যাপকভাবে আরবিভাষার শিক্ষাদানের পরিবেশ তৈরী করবে যাতে ইলম শেখার প্রধান মাধ্যম হয়ে ওঠে কুরআন-সুন্নাহর ভাষা। পাশাপাশি আকাবিরে দেওবন্দের ইলম থেকে ইস্তিফাদা গ্রহণ করার জন্য দ্বিতীয় মাধ্যম হিসেবে প্রয়োজন পরিমাণ উর্দু-ফার্সির চর্চা করা হবে। তারপর বিশ^ব্যাপী দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দেওয়ার জন্য ইংরেজী/অন্য কোন আন্তর্জাতিক ভাষাও চর্চার ব্যবস্থা রাখবে।